ফাস্ট বিডিনিউজ ২৪ ●
হাসান ওয়ালী ● নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের পদচারনায় মুখর সারাদেশ। কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রীক রাজনৈতিক দলগুলোও চালাচ্ছে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা। এক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে রয়েছেন আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলদেশ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। ২০০১ সালের নির্বাচনে নীলফামারী -১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে জমিয়তের প্রার্থী হিসেবে বিএনপি জোটের মনোনয়ন পান তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত আর নির্বাচনে অংশ নেননি। তবে এবার নির্বাচন করতে চান মাওলানা আফেন্দী। জানা গেছে, জোটের কাছে যে কয়টি আসন চাইবে জমিয়ত তার মধ্যে এই আসন অন্যতম।
মাওলানা আফেন্দী খোলা কাগজকে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম এ আসনে প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতির মামলা হয়। বর্তমানে তিনি পলাতক। তাঁর অনুপস্থিতিতে অনেকটা প্রার্থী-সংকটে পড়েছে বিএনপি। এছাড়াও আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচনী মাঠে আছি। ২০০৮ সালের নিবার্চনে আমি মনোনয়নও সংগ্রহ করেছিলাম কিন্তু অনিবার্য কারণবশত তা বাতিল হয়। এরপর থেকেই পুরোদমে মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছি। তাই ২০ দলীয় জোটের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
নির্বাচনী প্রস্তুতি বিষয় জানতে চাইলে মাওলানা আফেন্দী জানান, শুধুমাত্র নির্বাচন কেন্দ্রিক শোডাউন, কর্মীসভাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন না তিনি। ‘আমার নির্বাচনী প্রস্তুতি যথারীতি ভালভাবেই চলছে। শুধু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলাদা শোডাউন, কর্মীসভা করাকে আমি তেমন গুরুত্ব দেই না। তা কারণ হলো ১২ মাসই আমি নির্বাচনী এলাকাবাসীর সাথে সুসর্ম্পক বজায় রেখেই চলছি। তাদের সাথে সবসময় স্ব-শরীরে দেখা করি, সুযোগ না থাকলে ফোনে যোগাযোগ করি। বাড়ীতে গেলেই তাদের সাথে বিভিন্ন রকম বৈঠক পরামর্শ করে থাকি। আর এগুলো তো ২০০১ সাল থেকেই চলে আসছে।’ বলেন আফেন্দী।
ডোমার ও ডিমলা দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত নীলফামারী -১ আসনটিতে ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯১ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪৮ জন। দশম জাতীয় সংসদে এই আসনে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৯ জন। এছাড়াও আসনটিতে রয়েছে ২০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা।